যারা মনে করে সমাজ তাদের দুঃখ-কষ্টে সহায়তার হাত বাড়াবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। সমাজ একটা এবস্ট্রাকট ধারণা। এর মূলে Read More
যেমনে নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কি দোষ!
ব্লগ, 9 November 2023,কথাটা কি সঠিক! কোরআন নাযিলের ক্ষেত্রে আল্লাহ ভালো থেকে অধিকতর ভালো এই নিয়ম অবলম্বন করেছেন। তিনি ইসলামের প্রাথমিক যুগের অনেক প্রথাকে প্রথমে বিলুপ্ত না করে সেগুলোকে বরং ব্যবহার করে প্রথমে অন্যান্য দিকে মানুষের মনকে উন্নত করে নিয়েছেন। পরে যখন তারা অতীতকে অতিক্রম করার যোগ্যতা অর্জন করলো, তখন তিনি আয়াত নাযিল করে তা বাতিল করলেন। কত সুন্দর পদ্ধতি! মনের বিকাশের সাথে শ্রেয়ত্ব জড়িত থাকবে, এটাইতো স্বাভাবিক। আল্লাহ চান মানবের যোগ্যতার ধাপে ধাপে বিকাশ। আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় তোমরা এক স্তর থেকে অন্য (উচ্চতর) স্তরে গমন করবে।” ৮৪:১৯
কেউ যখন কোনো কাজ এক নাগাড়ে করে যেতে থাকে, তখন তার দেহ মনের মধ্য দিয়ে শক্তির একমুখী প্রবাহ তার কাজের দক্ষতা ও মনের বিন্যাসে একটা প্যাটার্ন বা ছক আরোপ করে। ফলে উক্ত কাজ তার অভ্যাসে পরিণত হয়। অভ্যাস গড়ে ওঠার কারণে কোনো কাজ অত্যন্ত সহজে ও স্বাচ্ছন্দে করতে পারে। অভ্যাস অত্যন্ত দৃঢ় হয়ে গেলে এবং জ্ঞানের বৃদ্ধি না ঘটতে থাকলে মানুষ অভ্যাসের দাস হয়ে যায়। তখন সৃজনশীল চিন্তা করা তার দ্বারা কঠিন হয়ে যায়। সৃজনশীলতা হলো পুরনো প্যাটার্ন বা ছক থেকে বের হয়ে এসে নতুন কিছু করা বা ভাবা। কিন্তু অভ্যাস মানুষের কাজকে সুবিধাজনক করে দেয় বলে সে সেই সুবিধা ভোগ করতে করতে অলস হয়ে যায়। তখন অভ্যাসের সুবিধাকে ভোগ করতে করতে নিজের অজান্তেই আরাম আয়েশ ও আলসেমিকে উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়ে নেয়। এজন্য দেখা যায় যে খুনি চিরকাল খুন করে যাচ্ছে, সাধক চিরকাল উপরের দিকেই যেতে থাকছে, মিথ্যাবাদীর মিথ্যা চিরকাল বাড়তেই থাকছে….
মহান রব সূরা লাইলে (ভাবার্থ) ৪-১০ নং আয়াতে বলেন, “কেউ ভাল কাজ করলে আমি তার জন্য ভালো কাজ সহজ করে দেব এবং কেউ খারাপ কাজ করলে তার জন্য খারাপ কাজ করা সহজ করে দেব এবং তাকে কঠোর পরিণামের দিকে চালিত করবো। এই যে ভালো বা খারাপ কাজ সহজ করে দেয়া হয় তা কিন্তু ব্যক্তির অভ্যাসের ফলে। আল্লাহ নিজ থেকে তাকে খারাপ পথে চালিত করেননি। কিছু ভ্রান্ত মারেফতপন্থী এই আয়াতের মূল রহস্য না জেনে বিভ্রান্ত হয়ে বলে বেড়ায় – যেমনে নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কি দোষ।